ডায়াবেটিস মোকাবিলায় অব্যর্থ কালোজাম

ছবি: টাটকা কালোজাম

কালোজাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো। কালোজামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ কালোজাম খেলে পেট ভালো থাকে। দাঁত আর মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কালোজাম অপরিহার্য।

প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ কালোজামে সুক্রোজ একেবারেই থাকে না৷ ফলে কালোজাম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ তবে কালোজামের শাঁসের থেকে অনেক বেশি উপকারি কালোজামের বীচি৷ কালোজামের বীজে থাকে জাম্বোলিন, যা স্টার্চকে সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে৷

ক্যানসার প্রতিরোধে

ছবি: টাটকা কালোজাম

কালোজাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যানসারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে। জাম লড়াই করে জরায়ু, ডিম্বাশয় ও মলদ্বারের ক্যানসারের বিরুদ্ধে।

মানসিকভাবে সতেজ রাখে

কালোজামে থাকা প্রাকৃতিক চিনির উপাদানগুলো মানুষকে কর্মশক্তি জোগায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ দূর করে

ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর করতে কালোজাম খুবই কার্যকর। দাঁতের সুস্থতা ও গরমে ক্লান্তি দূর করে এই ফল।

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে

কালোজামে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও লৌহ হাড়ের গঠন মজবুত করে তোলে, যা বয়স্কদের জন্য খুবই উপকারী।

হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে

কালোজামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর

কম ক্যালোরিযুক্ত এই ফলটি ডায়েট প্ল্যানে যুক্ত করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও শরীর সুস্থ থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কালোজামে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যালার্জিক এসিড শরীরকে ইনফেকশন ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।

চোখের সমস্যা দূর করে

কালোজাম চোখের স্নায়ু সক্রিয় রাখে, ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এবং রাতকানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কালোজামের বীজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে

জামের বীজে থাকা জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। পিষে খেলে ইনসুলিন ক্ষরণ বাড়ে এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতা কমে।

কালোজামের বীজ যেভাবে খাবেন

জামের বীজ শুকিয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের অংশ পিষে খেতে হবে। সকালে খালি পেটে পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।

ছবিঃ ওয়েবসাইট পাবলিশার